পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা হবে

হলদিয়া পালং ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে জেলা আমীর আনোয়ারী

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ০৫/১০/২০২৪ ৮:৪৭ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, আগস্ট মাসের ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দেশপ্রেমিক ও ইসলামিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাজিত শক্তির দোসররা আবারো দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যাবে তাই পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ করতে হলে মানব রচিত মতবাদের পরিবর্তে ইসলামী মতবাদের অনুসরণ অনুকরণ করতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উখিয়া উপজেলা হলদিয়া পালং ইউনিয়ন শাখা আয়োজিত ০৫ অক্টোবর বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ইউনিয়ন জামায়তের আমীর হাফিজ মাওলানা আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামাতের সাবেক সেক্রেটারি উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজালাল চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, প্রচার সেক্রেটারি আল আমিন, উখিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা আবুল ফজল। প্রধান অতিথি আরো বলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে পনেরো বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত করে দিয়েছিল । ছাত্রজনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দেশের সকল সেক্টরে সৎ, যোগ্য ও খোদাভীরু নেতৃত্ব কায়েম করে দেশকে স্বনির্ভর ও দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও বাংলাদেশ পুরোপুরি বৈষম্যমুক্ত হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে যারাই দেশ পরিচালনা করেছে তারাই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা চালিয়েছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন যতটুকু করা প্রয়োজন ছিল ততটুকু শাসক মহল করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই সর্বত্র আওয়াজ উঠেছে আগামীতে বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব খোদাভীরু নেতৃত্বের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহ জালাল চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার আমাকে দীর্ঘ ১৫ বছর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাকে নজর বন্দী করে রাখা হয়েছিল। আজ আমি মুক্ত হয়েছি। জনগণের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছি। নতুন বাংলাদেশ গড়তে জনগণকে সাথে নিয়ে অতীতের মত যে কোন ভূমিকা পালন করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি । জামায়াতে ইসলামী এই দেশে ইসলামী অনুশাসনের ভিত্তিতে একটি সমাজ কায়েম করতে চায়। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়াতের পতাকাতলে সমবেত হয়ে সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সুলতান আহমদ জামায়াতনেতা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাস্টার সেলিমুদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল হক, শ্রমিক নেতা রিদওয়ানুল হক জিসান, আমান উল্লাহ , ছাত্রনেতা ওসমান সরওয়ার, জামায়াতনেতা শাহ জালাল, ইউপি সদস্য ডা. নসরুল্লাহ রায়হান, ছাত্রনেতা ওসমান সরওয়ার প্রমূখ

পাঠকের মতামত

নাইক্ষ্যংছড়িতে ইটভাটায় অভিযান

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়ায় কে-আর-ই ব্রিক ফিল্ডে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইটভাটার কার্যক্রম ...